মেয়েটা খুব অস্থির।


মেয়েটা খুব অস্থির। মাথার ভেতর কোন বিষয় ঢুকলে তা সহজে বের করতে পারে না। তাকে বদরাগীও বলা যেতে পারে। এতো রাগ, এতো জেদ, এতো অস্থিরতার উৎস কোথায়?
মেয়েটার একটা প্রেমিক আছে।

প্রেমিকের নাম আমি জানি না। আমার জানবার কথাও না। শুধু জানি মেয়েটি তার প্রেমিককে খুব ভালোবাসে। অতিরিক্ত কোন কিছুই ভালো না- এরকম বাক্য শুনেছি বহুবার। তবে কি মেয়েটার প্রেমিকের প্রতি মাত্রাতিরিক্ত ভালোবাসা ভালো না?
" কি ব্যাপার? তোমার ম্যাসেজের উত্তর দিতে এতো দেরী হচ্ছে ক্যানো? তুমি একসাথে কতোগুলো মেয়ের সাথে চ্যাট করো?"..... এরকম অভিযোগ শোনার পর মেয়েটির প্রেমিক কি ভাবে বা কি উত্তর দেয় তা আমি জানি না। এরকম একগাদা উত্তর না জানা প্রশ্ন মাথায় নিয়ে গল্প লিখতে বসা ঠিক না। তাই আন্দাজে অনেক কিছু লিখবো। যদিও আমার গল্পের মূল বিষয় মেয়েটা, অবশ্যই তার প্রেমিক না।
ধরা যাক, মেয়েটির প্রেমিকের মোবাইল বারবার হ্যাং হয়ে যায়, তাই উত্তর দিতে দেরী হয়ে যায়। এখনকার মোবাইলগুলো তো এরকমই, বারবার শুধু হ্যাং হয়, স্লো হয়। যদি মেয়েটির প্রেমিকের মোবাইল আসলেই হ্যাং হয়ে যায় তাহলে প্রেমিকের বিরুদ্ধে মেয়েটির অভিযোগ শোনার পর প্রেমিকের কি মনে হবে? কি বলবে সে?
মেয়েটির প্রেমিকের ভাষ্য- আমাকে এরকম ক্যান সন্দেহ করো বারবার? আমার এরকম সন্দেহ ভাল্লাগেনা। এমনিতেই মোবাইলে সমস্যা তার উপর যদি তুমি এরকম প্যারা দিচ্ছো... ধ্যাত বাল, ভাল্লাগেনা কিছু।
মেয়েটি তার প্রেমিকের কথা শুনে কি রেগে যাবে? নাকি ঠাণ্ডা মাথায় কথা বলবে? যেহেতু গল্পের শুরুতে মেয়েটির ব্যাপারে আমি বলেছি- মেয়েটি খুব অস্থির, জেদী ও বদরাগী সেহেতু মেয়েটি রেগে যাবে এইটাই স্বাভাবিক। রেগে গিয়ে মেয়েটি বলবে-
" ওহ.. আমাকে আর ভাল্লাগেনা তাই না? আমি কিছু বললেই তোমার কাছে প্যারা মনে হয়। তাহলে দরকার কি রিলেশন রাখার? যাও.. অন্য মেয়ের কাছে যাও। যাদের সাথে চ্যাঁট করতেছিলা তাদের কাছে যাও"।
মেয়েটি ফোন রেখে দিবে, ফোন রেখে দেওয়ার পর বদরাগী মেয়েটা কতোটা নরম সুরে কাঁদবে বা তার নিঃশ্বাসের প্রবাহ ক্যামন হবে তা কোনভাবেই মেয়েটার প্রেমিক টের পাবে না।
মেয়েটি কিছুক্ষণ কাঁদুক.. আমি এই ফাঁকে গল্পটাকে অন্যদিকে নিয়ে যাই। যেহেতু গল্পটাকে অন্যদিকে নিয়ে যাবো বলে আমি সিদ্ধান্ত নিয়েছি সেহেতু আমাকে গল্পটা আবার নতুনভাবে ভাবতে হবে। মেয়েটার অভিযোগ থেকেই ভাবতে শুরু করি..
মেয়েটার অভিযোগ-
" কি ব্যাপার? তোমার ম্যাসেজের উত্তর দিতে এতো দেরী হচ্ছে ক্যানো? তুমি একসাথে কতোগুলো মেয়ের সাথে চ্যাট করো?"
এইবার ধরা যাক, মেয়েটার অভিযোগ সত্য। আসলেই তার প্রেমিক একসাথে অনেকগুলো মেয়ের সাথে চ্যাঁট করছে। কিন্তু প্রেমিক কি সহজে তা স্বীকার করবে? মেয়েটির প্রেমিক নিজেকে ধোয়া তুলসির পাতা প্রমাণ করবার জন্য বলবে-
" ছি: বাবু। তুমি আমাকে এরকমভাবে বলতে পারলা? তোমার একটুও কি খারাপ লাগলো না? কিভাবে পারলা তুমি আমাকে সন্দেহ করতে?"
প্রেমিকের কথা শুনে মেয়েটির মন খারাপ হয়ে যায়, ভীষণ রকমের মন খারাপ। রাজ্যের সমস্ত দু:খ এসে ভর করে মেয়েটার চোখে, অসহ্যকর এক কান্না আসতে থাকে প্রবল বেগে। এই কান্না মেয়েটার প্রেমিক কখনওই দেখতে পারবে না, কখনওই জানতে পারবে না।
গল্পটা এই পর্যন্ত বর্ণনা করবার পর আমার খুব মেজাজ খারাপ লাগছে। গল্প যেদিকেই নিচ্ছি সেদিকেই মেয়েটা কান্না করছে, সেদিকেই মেয়েটা মন খারাপ করছে। তাই এই গল্পটা আমি আর লিখবো না। মেয়েদের মন খারাপ হলে আমারও মন খারাপ হয়ে যায়। তাই গল্পটা অসমাপ্ত রয়ে গ্যালো।

Comments

Popular posts from this blog

Encrypt Your Life.... #Eftakhar_Ahsan_Pial #Eftakhar_Ahsan #Pial_Ahsan

এবার খুব সহজে নিজেই ডাউনলোড করে নিন আপনার অরজিনাল ন্যাশনাল আইডি কার্ড এর pdf ফাইল।